এক লাখে প্রতিদিন লাভ ১৩শ টাকা,প্রতারনার ফাঁদে দেড় হাজার শ্রমিক ।
খবরের সময় ডেস্ক
আট মাসে এক হাজার ৪২৭ জনের কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারকচক্র।চক্রটি অনলাইনের মাধ্যমে কার কত টাকা মূলধন ও কত টাকা লভ্যাংশ তা সরাসরি দেখতে পারত।সোপান প্রোডাক্ট লিমিটেড ও সোপান প্রপার্টিজ লিমিটেড নামে দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে চক্রটি গ্রাহকদের কাছ থেকে গত আট মাসে মূলধনসহ মোট আড়াইশ শতাংশ টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সদস্য সংগ্রহ করে প্রতারণা করে আসছিল তারা।পরে অভিযোগ পেয়ে চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার।
গ্রেফতাররা হলেন-গাজী মহিউদ্দিন (২৭) আনিছুর রহমান (৩৭) ও মো. হারুনুর রশীদ (৩৭)।এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি কম্পিউটার,নগদ ৪৭ হাজার ৪০০ টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতারণার ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ৫৯৪ টাকা জমা পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো.রেজাউল হায়দার বলেন, সাধারণ মানুষের বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য চক্রটি রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসে অফিস নেয়। যাতে করে সাধারণ মানুষ তাদের কাছে বিনিয়োগ করতে কোনো সংকোচবোধ না করে।
তিনি বলেন গত আট মাসে মূলধনসহ ২৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সদস্য সংগ্রহ করে এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল প্রতারক চক্রটি। তারা সরকারি চাকরিজীবী ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের টার্গেট করে সদস্য করতো।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহকের লগইন স্লট খুলে সদস্যদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন প্যাকেজে লভ্যাংশ দিত।চক্রটি আড়াই হাজার টাকা বিনিয়োগে প্রতিদিন ৩০ টাকা লভ্যাংশ দিত। সাত হাজার ৫০০ টাকা বিনিয়োগে প্রতিদিন ১০০ টাকা লভ্যাংশ, ২২ হাজার ৫০০ টাকা বিনিয়োগে প্রতিদিন ৩০০ টাকা, ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা বিনিয়োগে প্রতিদিন ৯০০ টাকা, এক লাখ টাকা বিনিয়োগে প্রতিদিন ১৩শ টাকা লভ্যাংশ দেবার প্রলোভন দেখাতো,রেজাউল হায়দার বলেন, ‘একজন সদস্য বিনিয়োগের জন্য তিনজনকে নিয়ে এলে তাকে ১০ শতাংশ বোনাসসহ ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত লাভ দেয়া হতো। এভাবে তিন মাসে এক হাজার ৪২৭ জনের কাছ থেকে প্রায় ছয় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা।